(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
যৌ-নজীবন নিয়ে সবচেয়ে কার্যকরী পরামর্শ
এক. পেলভিক ফ্লোর মাসেল কে শক্তিশালী করা
আমাদের তলপেটের পেলভিক মাসেলের উপরেও নির্ভর করে বী-র্যপাত দ্রুত হবে কি হবেনা।
যদি পেলভিক ফ্লোর মাসেল শক্তিশালী হয় তাহলে বী-র্যপাত হতে সময় লাগবে।
যদি মাসেল দুর্বল হয়, তাহলে দ্রুত বী-র্যপাত হবে।তাই পরামর্শ থাকবে পেলভিক মাসেল কে শক্তিশালী করা।
কিভাবে পেলভিক ফ্লোর মাসেল শক্তিশালী করবো?
“কেগেল এক্সারসাইজ” এর মাধ্যমে পেলভিক ফ্লোর মাসেলকে শক্তিশালী করা যায়।
আরো পড়ুন 👉 দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা দূর করতে যে ১০টি নিয়ম অনুসরণ করবেন
দুই.স্বাস্থ্যকর জীবন মেইনটেইন করা
পুষ্টিকর খাবার, পরিমিত ওজন থাকা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, মাদকদ্রব্য থেকে দূরে থাকা।এ অভ্যাসগুলো প্রতিটি মানুষেরই থাকা উচিৎ।
স্বাস্থ্য ভালো থাকলে ইরেকটাইল ডিসফাংশন সহ দ্রুত বী-র্যপাতের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
যারা ধূমপান করেনা তাদের যৌ-নজীবন ধূমপায়ীদের থেকে ভালো হয়।
এছাড়াও সুন্দর স্বাস্থ্য প্রতিটি পুরুষকেই আত্মবিশ্বাসী করে তোলে ফলে পারফরম্যান্স অ্যাংজাইটি কমে যায়।
আরো দেখুন👉যেভাবে দূর করবেন ইরেক্টাইল ডিসফাংশন
তিন.স্কুইজ মেথড অবলম্বন করা
সহবাসরত অবস্থায় যদি দেখেন যে, বী-র্য বের হয়েই যাবে এমন অবস্থা,
তাহলে লিঙ্গ যোনিপথ থেকে বের করে লিঙ্গের মাথায় চাপ দিয়ে ধরে রাখুন।
এভাবে কিছুক্ষণ ধরে রাখলে বী-র্য বের হওয়ার বেগটা কমে যাবে, তখন আবার সহ-বাস শুরু করতে পারবেন।
চার.স্টার্ট স্টপ টেকনিক
সহবাস করার সময়ই আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন সময়ে আপনার বী-র্যপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাধারণত বীর্যপাত হওয়ার ১০ সেকেন্ড আগেই এমনটা আন্দাজ করা যায়।
তাই এমনটা অনুভব করলে লিঙ্গ যোনিপথ থেকে বের করে আনুন।
লিঙ্গ বের করে এনে অন্য কাজ, যেমন: ফোর-প্লে করতে পারেন।
লিঙ্গের উত্তেজনা স্বাভাবিক হলে, তখন আবার লিঙ্গ যোনিপথে চালনা করতে পারবেন। এতে করে সহবাসের সময় বৃদ্ধি করা সম্ভব।
পাঁচ.কনডম ব্যবহার
কনডম ব্যবহার করলে সহবাসের সময় কিছুটা বৃদ্ধি করা যায়।
স্বাভাবিক অবস্থায় যদি সহবাসের সময় ৪-৬ মিনিট হয়, তাহলে কনডম পরে সহবাস করলে ৮-১০ মিনিট সময় পাওয়া যায়।
পুরুষরা এই ব্যাপারটা ভেবে দেখবেন।
ছয়.একজন চিকিৎসক এর পরামর্শ নেওয়া
যারা এই সমস্যাটিতে ভুগছেন তাদের প্রতি পরামর্শ থাকবে উপরের কাজগুলো করার পাশাপাশি অবশ্যই একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া।
শারীরিক কোন সমস্যার কারণে এমন হচ্ছে কিনা সেটি যাচাই করার জন্যে ডাক্তার দেখানো উচিৎ।