(মুসলিম২৪বিডি ডটকম)
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা ইরশাদ করেন ادعوني استجب لكم তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।
প্রিয় নবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন الدعاء مخ العباده অর্থাৎ দোয়া সকল ইবাদতের মগজ।
যেমনিভাবে একজন মানুষের বডির প্রধান অংশ হল ব্রেইন বা মগজ। তেমনি ভাবে সকল ইবাদতের প্রধান হলো দোয়া।
অন্য স্থানে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন। الدعاء هو العباده অর্থাৎ দোয়া-ই একটি ইবাদত।
অতএব হাদিসের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম দোয়া একটি ইবাদত, কোন এবাদত নিজের মনগড়া পদ্ধতিতে আদায় করলে হয় না। তার নির্দিষ্ট কিছু আদব/পদ্ধতি রয়েছে।
নিম্নে দোয়ার কিছু আদব বর্ণনা করা হইল।
এক. দোয়ার শুরুতে দুরুদ শরীফ পাঠ করা। দুরুদ শরীফ দোয়ার শুরুতে পাঠ করিলে এই দোয়া কবুল হওয়ার জন্য ৯৮% সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমাদের আকাবিরগন উল্লেখ করেছেন।
দুই. কোরআন শরীফে বর্ণিত দোয়া সমূহ পাঠ করা। কুরআন শরীফে বর্ণিত দোয়া সমূহ স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন শিক্ষা দিয়েছেন। এগুলোর মাধ্যমে দোয়া করিলে অবশ্যই অবশ্যই আল্লাহ তাআলা কবুল করবেন।
তিন. দুয়ার মধ্যে কান্নার ভাব নেওয়া। বর্ণিত আছে দোয়ার মধ্যে কান্না করা কান্না না আসলে কান্নার ভাব ধরা। এটা করলে দোয়া কবুলের ধারপ্রান্তে চলে আসে।
কখন দোয়া করলে কবুল হয়
যেকোনো নামাজের পর দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়, যেকোনো ফরজ ইবাদতের পর দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হয়।
এইজন্য ওলামায়ে কেরাম বলেন যখনই দোয়া করতে ইচ্ছা পোষণ করবে তখনই দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে নেবে।
তাছাড়া রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দোয়া কবুল হয়। রাতের শেষ তৃতীয়াংশ হিসেবে নির্ধারণ করা হয় রাত 2 টার পর থেকে ফজর পর্যন্ত।
দোয়া করতে হলে হাত উঠানো কি জরুরী
সিনা বরাবর উভয় হাত উঠিয়ে হাতের তালু আসমানের দিকে রেখে দোয়া করা। এটা দোয়ার আদব।
তবে কেউ যদি হাত না উঠিয়ে উচ্চস্বরে কিংবা মনে মনে দোয়া করে সেটাও দোয়া হিসেবে গণ্য হবে।
আল্লাহ তাআলা মানুষের অন্তরের ভিতরের খবর ও রাখেন। “انك عليم بذات الصدور”
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বেশি বেশি দোয়া করার তৌফিক দান করুক। আমিন।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি লিখেছেন মুসলিমবিডি২৪ডটকমের এর কর্ণধার হাফিজ মাওলানা আব্দুল্লাহ আফজাল।