(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
অধিকাংশ সময় কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করতে গিয়ে তাতে বেশ কিছু চুল দেখা যায়,
যা সম্পর্কে কিছু অজ্ঞ লোক ভ্রান্ত আকিদা পোষণ করে থাকে
যেমন তারা বলে থাকে, “কুরআন শরীফে যে সকল চুল পাওয়া যায় তার নবী রাসুল এবং অলি আউলিয়াদের চুল„
তাদের এই ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ও কুরআন হাদিস পরিপন্থী। সঠিক কথা হল!
কোরআন শরীফে যে সকল চুল পাওয়া যায় তা কুরআন তেলাওয়াত কারীর হয়ে থাকে।
তেলাওয়াতকারী যে কেউ হোক না কেন, এখন তো সাধারণত চুল পড়া এক বড় ধরনের রোগে পরিণত হয়েছে।
লক্ষ্য করলে দেখা যায় বিছানায় চুল বসার জায়গায় চুল গোসলখানায় চুল শরীর চুলকানোর সময় বা মাথা চুলকানোর সময় চুল ঝরে পড়ে।
এ সকল চুল কুরআন শরীফ থেকে ঝেড়ে ফেলে দেয়া উচিত। কথায় আছে না অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।
এমনই এক লোক কুরআন শরীফ খুজে খুজে অনেকগুলা চুল জমা করে অনেক আদব ও
সম্মানের সাথে এক পাট্রাই ভরে লোকেদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করল।
লোকেরাও তার সাথে সাথে চুলের প্রতি আদব ও সম্মান দেখাতে লাগলো।
তাদের এই ভ্রান্ত আকিদার থেকে একজন বিজ্ঞ আলেম ফতোয়া দিলেন যে এই চুল কোন নবী রাসুল বা অলি আউলিয়াদের না।
বরং এগুলো হল কুরআন তেলাওয়াত কারীর চুল। আর এগুলোর বিশেষ কোনো মর্যাদা বা সম্মান নেই। এগুলো ফেলে দেয়াই উত্তম।
আজ কুরআনে কারীমের চুল একত্র করা আরম্ভ করেছ কাল তো মসজিদের চুল জমা করা শুরু করবে!
সুতরাং এই সকল ভ্রান্ত আকিদা থেকে বেঁচে থাকো।
আরো পড়ুনঃ
শরীরের অবাঞ্ছিত পশমের বিধান, কৃত্রিম চুল ব্যবহারের শরয়ী বিধান, ভ্রু প্লাক করা জায়েয নাই