(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
আরিফ বিল্লাহ ড. আব্দুল হাই রহ. বলেন: নফসকে ধোঁকা দিয়ে তার থেকে কাজ উদ্ধার কর। তিনি নিজের একটি ঘটনা বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন আমার তাহাজ্জুদ পড়ার অভ্যাস ছিল। বৃদ্ধাবস্থায় যখন একরাতে তাহাজ্জুদ পড়ার জন্য চোখ খুলতে লাগলো তখন আমার
মধ্যে বিশাল অলসতা লেগে গেল। মনে মনে এ ধারণা হলো যে, আজকে আমার মনটা পুরোপুরি ঠিক নেই। মনটা অলস হয়ে আছে। মন
বলতে লাগলো তোমার তো অনেক বয়স হয়েছে। আর তাহাজ্জুদ নামাজ তো ফরজ ওয়াজিব কিছু না। যদি আজ তাহাজ্জুদ নামাজ ছেড়ে
দাও তাহলে তো কিছু হবে না। তখন তিনি বলতে লাগলেন: মনের কথাই ঠিক। তাহাজ্জুদ নামাজ ফরজ ওয়াজিব কিছুই না এবং
মনটাও ভালো না। কিন্ত এই সয়মটাতো আল্লাহর দরবারে কবুলিয়াতের একটি সময়।আর “হাদিস শরিফে আছে যে, যখন রাতের এক
তৃতীয়াংশ সময় চলে যায় তখন আল্লাহ তাআলা খাস কিছু রহমত দুনিয়াতে প্রেরণ করেন। এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি আওয়াজ
আসে। আজ কি কেউ ক্ষমা চাইতেছ? যে চাইবে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” তাই মনে মনে বললাম: এই সময়টা অবসর থাকা ঠিক
হবে না। অপর দিকে মনকে ভুলিয়ে দিয়ে বললাম: ঠিক আছে উঠে বসে যাও এবং কিছু দোয়া করে শুয়ে যাও। যখন উঠে দোয়া করতে
শুরু করলাম তখন মনকে বললাম: তুমি যখন উঠে বসে গেলে এখন তো তোমার ঘুম চলে গেছে তাহলে বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে
আসো। এবং আরামের সাথে এসে বসে দোয়া কর। যখন বাথরুমে এসে ইস্তিঞ্জা শেষ করলাম তখন মনকে বললাম: যখন বাথরুমে
এসেই গেছো তাহলে ওযুটা করে নাও। কেননা ওযু করে দোয়া করার মধ্যে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অতপর ওযু করে বিছানায়
দোয়া করা শুরু করে দিলাম। পরে মনকে প্রলুদ্ধ করলাম যে, বিছানায় বসে কি দোয়া হবে? দোয়া করার জন্য যে জায়াগাটি নির্দিষ্ট
আছে সেখানে গিয়ে দোয়া করো। এবং নফসকে জায়নামাজ পর্যন্ত শক্ত করে নিয়ে যাও।আর জায়নামাজে দাড়িঁয়ে তাড়াতাড়ি দুই
রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে নাও।
নেক কাজ করতে এভাবে নফসকে একটু ধোঁকা দিতে হলো। যেহেতু নফস ভালো কাজ থেকে সরিয়ে রাখছিলো তাই নফসকে এভাবে
একটি ধোঁকা দিলাম। তাই আপনারাও নফসকে নেক কাজে মজবুত ও কঠোর করে নিয়ে যাও। ইন শা আল্লাহ তার বরকতে আল্লাহ
তাআলা বেশি বেশি আমল করার তাওফিক দান করবেন।
আরও পড়ুন:-
হাকিমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবি রহ. এর ঘটনা
হযরত শাহ ইসমাইল শহিদ রহ. এর ঘটনা
হযরত ইলিয়াস রহ. এর ঘটনা
মাশা আল্লাহ
জাযাকাল্লাহ