(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
হযরত লোকমান হাকিম আলাইহিস সালাম আদর্শ বাবার ভূমিকা নিয়ে,
তার ছেলেকে আদর্শবান ও আদব-শিষ্টাচারে গড়ে তোলার জন্য,যে উপদেশগুলো দিয়েছিলেন,তা হেকমতে ভরপুর ও অনেক উপকারী,
যা মুমিনের জন্য কল্যাণের মহাসমুদ্র
১.বেটা!,আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করিও না,নিশ্চয়ই শিরিক হলোঃ-বড় অন্যায় ও বড় জুলুম।
২.বেটা!,গুরুত্ব সহকারে জানাযায় শরীক হইও এবং অহেতুক অনুষ্ঠানাদি থেকে বাঁচিয়া থাকিও।
৩.বেটা!,অন্য ব্যক্তিকে উপদেশ দেওয়ার আগে,নিজে আমল করিও।
৪.বেটা!,বিচক্ষণ এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে বন্ধুত্ব করিও।
৫.বেটা!,জমিনের উপর দম্ভভরে চলিও না
কেননা আল্লাহ তাআলা,দাম্ভিক ও অহংকারীকে পছন্দ করেন না।
৬.বেটা!,কথা বলিবার সময়,নিম্নস্বরে বলিও,উচ্চ আওয়াজে কথা বলিও না।কেননা ইহা গাধার স্বভাব।
৭.বেটা!,পাপের কাজ করিবার জন্য ঐ পরিমাণ সাহস করিও,যে পরিমাণ জাহান্নামের আগুনে জ্বলিবার সাহস আছে।
৮.বেটা!,পাপ কাজ করার জন্য,এমন একটি জায়গা বাছাই করিয়া লইও,
যেখানে আল্লাহ তা’আলা ও তাহার ফিরিশতারা না দেখেন।
৯.বেটা!,কথা কম বলা,কম খাওয়া এবং কম ঘুমানোর অভ্যাস করিও।
১০.বেটা!,বড়দের সাথে বেয়াদবি ও হাসি-ঠাট্টা করা থেকে বিরত থাকো ,কেননা ইহা বদদোয়া পাওয়ার কারণ হইবে।
১১.বেটা!,নেককার লোকদের সাথে শত্রুতা করিও না এবং তাহাদের নিন্দা করিও না।
১২.বেটা!,খেল-তামাশা,ঠাট্টা-বিদ্রুপ ও অনর্থক কাজ থেকে বাচিয়া থাকিও।
১৩.বেটা!,পথ চলার সময়,বড়দের আগে চলিও না এবং এদিক সেদিক উঁকি মেরে তাকাবে না।
১৪.বেটা!,তওবা করিতে দেরি করিও না, কেননা জানা নাই মৃত্যু কখন আসিয়া যায়।
১৫.বেটা!,তুমি এত মিষ্ট হইও না যে,মানুষ তোমাকে গিলিয়া ফেলে,আর এত তিক্ত হইও না যে,মানুষ তোমাকে থুথুর মতো ফেলিয়া দেয়।
১৬.বেটা!,বিজ্ঞ লোকদের মজলিসে গুরুত্বসহকারে বসিও,আর নিজের কাজে, আলেমগনের নিকট হইতে পরার্মশ লইতে থাকিও।
১৭.বেটা!,মূর্খের সাথে বন্ধুত্ব করিও না,এমন যেন না হয় যে, তাহার মূর্খতা সুলভ কথাবার্তা,তোমার ভালো লাগিতে আরম্ভ করে,
আর জ্ঞানী লোকের সাথে শত্রুতা করিও না,এমন যেন না হয় যে,সে তোমার দিক থেকে মুখ ফিরাইয়া লয়,
যদ্দরুন তুমি তাহার হেকমত ও জ্ঞান সুলভ কথাবার্তা থেকে,বঞ্চিত হয়ে যাও।
১৮.বেটা!,দুনিয়ার জন্য তুমি ঐ পরিমাণ কামাই করো,যত দিন তুমি দুনিয়াতে থাকবে,
এবং আখেরাতের জন্যও ঐ পরিমাণ কামাই করো,যত দিন তুমি আখেরাতে থাকবে।
১৯.বেটা!,তুমি যেদিন থেকে দুনিয়াতে আসিয়াছো,
প্রতিদিন আখেরাতের নিকটবর্তী হইতেছো।সুতরাং,চিরস্থায়ী আখেরাতের ব্যাপারে গাফেল থাকিও না।
২০.বেটা!,আল্লাহর নাফরমানির ব্যাপারে কাহারো,আনুগত্য করিও না,আনুগত্য-হবে শুধু,ভালো কাজের।
২১.বেটা!“নামাজ কায়েম করো,সৎকাজে আদেশ করো,অসৎকাজে নিষেধ করো, এবং”নম্র ভাষায় দাওয়াত দাও,তাদের সাথে কোন প্রকার কঠোরতা করিও না।
২২.বেটা!,মানুষের সাথে কথা বলার সময়, চেহারা অন্যদিকে ফিরিয়ে রেখো না,বরং ভদ্রতা বজায় রেখে,হাসিমুখে কথা বলিও।