(মুসলিমবিডি২৪ডটকম)
হযরত উম্মে আম্মারা (রাঃ)এর পুত্র হযরত হুবাইব রাঃ কে মিথ্যা নবুওয়াতের দাবিদার, মুসায়লামাতুল কাযযাব বন্দী করে, শহীদ করে দেয়।
তারপরও হযরত হুবাইব রাঃ এর মুখ থেকে ঈমান বিরোধী কোন কথা বের করতে পারে নি।
এ অত্যাচারী নরাধম তাকে বলত “তুমি কি এ সাক্ষ দাও যে, মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর রাসূল?”তিনি বলতেন “অবশ্যই” অবশ্যই”।
এরপর মুসায়লিমা তাকে বলত,”তুমি কি একথার ও সাক্ষ দাও যে,আমিও আল্লাহর রাসূল?” তখন তিনি বলতেন “কখনই না”
এ উত্তর শোনার পর অভিশপ্ত তার শরীর থেকে একটি অঙ্গ কেটে ফেলতো। তাকে এ দুটি পশ্ন বারংবার করত।
যখনই তিনি তার নবুওয়াতের কথা অস্বীকার করতেন তখনই সে পাপিষ্ঠ তার আরেকটি অঙ্গ কেটে ফেলতো।
এভাবে সে একটি একটি করে পুরো শরীর কে টুকরো টুকরো করে ফেলল। (সীরাতে হালাবিয়্যাহ-পৃষ্ঠা ৪০৯)
এভাবেই তিনি শহীদ হয়ে গেলেন কিন্তু শরীয়তের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও তিনি ইসলামের অঙ্গীকার বিরোধী কোন কথা বলতে রাজী হলেন না।
কবি বলেনঃ
اگر چہ خرمن عمرم غم توادد* بخاک پاۓ عزیزت کہ عہد نشکستم
অর্থঃ আমার এজীবন শেষ হলো,তোমারই চিন্তা করে • তোমার পায়ের কসম,তবু ওয়াদা রইবে জীবন ভরে।
আকাবায়ে সানীয়ার বায়আত গ্রহণকারীর সংখ্যা
আকাবায়ে সানীয়াতে সকলেই নবী করীম সঃ এর নিকট বায়আত গ্রহণ করেন।এসময় তাদের সংখ্যা ছিল পুরুষঃ৭৩জন এবং মহিলাঃ ২জন।
এ বায়আতকে عقبة الثانية বলে। এরপর রাসুল সাঃ তাদের মধ্য হতে বারজনকে সম্পূর্ণ কাফেলার দায়িত্ব প্রধান করেন।