(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম )
এ অক্ষরটি হাফফায়ে লেসান অর্থাৎ, জিহ্বার (ডানে অথবা বাম) কিনারা ও উপরের ‘আযরাস’ অর্থাৎ চর্বণ দাতের মাড়ী থেকে উচ্চারিত হয়।
তবে বাম কিনারা থেকে উচ্চারণ করাই সহজ। একই সময় জিহ্বার উভয় পার্শ্ব থেকে উচ্চারণ করাও শুদ্ধ, কিন্তু কষ্টকর।
প্রসংগত: এখানে ‘আযরাস’ দন্তের পরিচয় দেয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে লক্ষ্য করা দরকার যে,
মুখের মোট বত্রিশটি দাতের মধ্যে সম্মুখস্থ চারটি (নীচের দু’টি উপরের দু’টি) দাতকে ছানায়া বলে।
উপরের দু’টিকে ছানায়া উলয়া আর নীচের দু’টিকে ছানায়া সুফলা বলে।
ছানায়ার চার পার্শ্বে একটি একটি করে (নীচের দুই ও উপরের দুই) মোট চারটি দাতকে রুবা-ইয়্যাত ও ক্বাওয়াত্বে, বলা হয়।
রুবা-ইয়্যাতের চথুর্পাশ্বে একটি একটি করে (নীচে-উপরে) মোট চারটি ধারালো দাত রয়েছে সেগুলোকে ‘আনয়াব’ ও কাওয়াছির’ বলা হয়।
উল্লেখিত ঐ ১২টি দাত ছাড়া বাকী যে ২০টি (নীচের দু’পাশে ১০টি ও উপরের দু’পাশে ১০টি) দাত কে ‘আযরাস’ বলে।
মোটকথা, জিহ্বা ডান অথবা বাম কিনারাকে উপরের আযরাস-দন্ত মাড়ির সাথে ঘর্ষণ লাগিয়ে অক্ষরটি উচ্চারণ করতে হয়।
ض অক্ষর উচ্চারণ
লোকগণ আরবী অক্ষর সমূহের উচ্চারণের ক্ষেত্রে যে ভুল-ত্রুটি করে থাকেন তন্মধ্যে সবচেয়ে, মারাত্মক ভুল হয় ض অক্ষরটিতে।
যার উচ্চারণের বেলায় ক্বারী সাহেবানদেরও যথেষ্ট কষ্ট স্বীকার করতে হয়। জনসাধারণের অবস্থা তো আরও নাজুক।
পরন্তু, এ অক্ষরটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ যা ছাড়া নামাজ আদায় করাই সম্ভব নয়। নামাজ পড়তে গেলেই সূরাহ- এ ফাতেহা তিলাওয়াত করতে হয়।
সেখানে অক্ষরটি রয়েছে দু’দফা। তাই সবাইকে অত্যান্ত মনযোগ ও গুরুত্ব সহকারে এই অক্ষরটির সঠিক উচ্চারণে অবশ্যই সচেষ্ট থাকতে হবে।
অভিজ্ঞ ক্বারী সাহেবের কাছ থেকে এর ভালভাবে মশক্ব করে নিতে হবে।
আরো পড়ুন: 👇👇👇
এক নজরে আরবী ১৭টি মাখরাজ শিখুন