(মুসলিমবিডি২৪ ডটকম)
যে পরিমাণ খানা খেলে জীবন ধারণ করা যায় সে পরিমাণ খাদ্য খাওয়া ফরজ।
দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করা যায় এবং রোজা রাখার শক্তি অর্জিত হয় সেই পরিমাণ খাওয়া মুস্তাহাব।
খানা অর্ধপেট পরিমাণ খাওয়া সুন্নত। পেট ভরে খানা খাওয়া জায়েজ।
জেহাদ করার শক্তি অর্জন করা এবং দ্বীনী ইলম শিক্ষা করার নিয়তে পেট ভরে খানা খাওয়া মুস্তাহাম।
পেট ভরে খাওয়ার পর অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হারাম। তবে পনের দিন রোজা রাখার নিয়তে কিংবা মেহমানের খাতিরে পেট ভরে খাওয়া হারাম নয়।
মৃত্যুর আশংকা দেখা দিলে হারাম খাদ্য খাওয়ার হুকুম কি?
তীব্র ক্ষুধার সময় অর্থাৎ ক্ষুধার তাড়নায় যখন মৃত্যুর আশংকা দেখা দেয়,
তখন হালাল খাদ্য না পাওয়া গেলে মৃত প্রাণী বা এ জাতীয় হারাম খাদ্যও হালাল হয়ে যায়।
বরং উক্ত অবস্থায় ইমাম আবু হানীফা রহ.-এর মতে তা ভক্ষণ করা ফরজ। যদি না খেয়ে মারা যায় তাহলে গোনাহগার হবে।
তবে উক্ত খাদ্য জীবন ধারণের পরিমাণ খাবে, পেট ভরে খাবে না। ইমাম শাফেয়ী রহ. ইমাম আহমদ রহ.-এর,
এক বর্ণনা অনুযায়ী ও ইমাম মালেক রহ.-এর মতে পেট ভরে খাওয়া জায়েজ।
এমতাবস্থায় যদি অন্যের সম্পদ মূল্য পরিশোধের নিয়তে খেয়ে ফেলে তবে তাও জায়েজ।
কিন্তু যদি সতর্কতার জন্য অন্যের সম্পদ ভক্ষণ না করে মৃত্যুবরণ করে তবে সে সওয়াবের অধিকারী হবে, গোনাহগার হবে না।
ঔষধ সেবন, সুস্বাদু খাবার ও দামী ফল খাওয়ার হুকুম কি?
রোগাক্রান্ত হলে ঔষধ সেবন করা জায়েজ আছে; ওয়াজিব নয়। যদি ঔষধ সেবন করে মৃত্যুবরণ করে, তবে গোনাহগার হবে না।
বিভিন্ন প্রকারের ফল-ফলাদি খাওয়া এবং সুস্বাদু খাদ্য আহার করা জায়েজ। তবে তাতে অপচয় করা এবং অতিরঞ্জিত করা নিষেধ।
(সূত্র: মালাবুদ্দা মিনহু-১৩৫)