প্রশ্ন: তাজবীদ কাকে বলে? তার আলোচ্য বিষয় কি?
উত্তর: প্রতিটি হরফকে তার নিজ নিজ মাখরাজ থেকে সিফাতসহ উচ্চারণ করে পড়াকে তাজবীদ বলে।
কোরআন মজীদের শব্দাবলী হচ্ছে, ইলমে তাজবীদের আলোচ্য বিষয়।
প্রশ্ন: ইলমে তাজবীদ শিক্ষা করা কি? এবং এর ফায়দা কি?
উত্তর: ইলমে তাজবীদ শিক্ষা করা ফরজে কিফায়া। কোরআন মজীদ তিলাওয়াতে ভুল-ভ্রান্তি হওয়া থেকে যুবানকে রক্ষা করা হচ্ছে, তার ফায়দা।
প্রশ্ন: কোরআন মজীদ তিলাওয়াতের স্তর কয়টি ও কি কি? প্রত্যেকটির সংঙাসহ
উত্তর: কোরআন মজীদ তিলাওয়াতের স্তর তিনটি।
১) তারতীল ২) হদর এবং ৩) তাদবীর।
১) তারতীল
মদ ও গুন্নাহ পরিপূর্ণভাবে আদায় করে, ধীর- স্থীরে কোরআন মজীদ পড়াকে তারতীল বলে।
২)হদর
তাজবীদের নিয়ম কানুন রক্ষা করে, একটু দ্রুত কোরআন মজীদ পড়াকে হদর বলে।
৩) তাদবীর
তারতীল এবং হদরের মাঝামাঝি ধরনের পড়াকে তাদবীর বলে।
লাহনের বর্ণনা
প্রশ্ন: লাহন কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কি কি?
উত্তর: তাজবীদের বিপরীত কোরআন মজীদ পড়াকে লাহন বলে।
উহা দুই প্রকার:
১) লাহনে জালী (বড় ভুল)
২) লাহনে খাফী (ছোট ভুল)
প্রশ্ন: লাহনে জালী কাকে বলে? এবং তার হুকুম কি?
উত্তর: ১) এক হরফের জায়গায় অন্য হরফ পড়া।
২) কোন হরফকে বাড়িয়ে দেয়া।
৩) কোন হরফকে কমিয়ে দেয়া।
৪) যের, যবর, পেশ এবং জযম থেকে একটিকে অপরটির জায়গায় পড়া। এ জাতীয় মারাত্মক ভুলসমূহকে লাহনে জালী বলে। লাহনে জালী পড়া হারাম।
অনেক জায়গায় লাহনে জালীর কারণে অর্থ বিকৃত হয়ে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।
প্রশ্ন: লাহনে খাফী কাকে বলে এবং এর হুকুম কি?
উত্তর: হরফকে সুন্দর করে উচ্চারণ করার নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুনের বিপরীত পড়াকে লাহনে খাফী বলে। এ রকম পড়া মাকরুহ; তাই এ থেকেও বেচে থাকা উচিৎ।
কোরান শরীফ তিলাওয়াত শুরু করার পদ্ধতি
প্রশ্ন: কোরআন মজীদ তিলাওয়াত শুরু করার পদ্ধতি কি?
উত্তর: কোরআন মজীদ তিলাওয়াত যদি কোনো সূরার প্রথম থেকে আরম্ভ করা হয়; তাহলে-
“আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রাজীম” এবং
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”
উভয়টা পড়া জরুরী। আর যদি তিলাওয়াত কোনো সূরার মধ্যখান থেকে আরম্ভ করা হয় তবে ; শুধু-
“আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রাজীম”
পড়া জরুরী এবং “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” ও পড়ে নেয়া ভালো।
প্রশ্ন: পড়তে পড়তে যদি তিলাওয়াতের মধ্যখানে কোনো সূরা এসে যায় তবে কি করা উচিৎ?
উত্তর: তখন “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” পড়া জরুরী। কিন্তু মধ্যখানে যদি “সূরা বারাত” এসে যায় তবে তার শুরুতে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম” না পড়াই উচিত।