আসরের ওয়াক্তের আরম্ভ ও শেষ সময়-
জোহরের সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আসরের নামাজের সময় শুরু হয়।
সূর্য হলদে বর্ণ ও রশ্মিহীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পূর্ণ ওয়াক্ত বাকী থাকে।
এর পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আসরের নামাজ পড়া মাকরূহ।
উক্ত সময়ে ঐ দিনের আসরের নানাজ আদায় করা মাকরূহে তাহরীমীর সাথে জায়েজ হবে।
কিন্তু অন্যান্য ফরয ও নফল নামাজ আদায় করা জায়েজ হবে না।
মাস’আলা
সূর্য হলুদ বর্ণ ও নিস্তেজ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আসরের নামাজের ওয়াক্ত থাকে।
সূর্যের হলুদ বর্ণ বলতে সূর্য নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার পর থেকে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত সময়টুকুকে বুঝায়।
এ সময়ে কোন ফরয নামাজের ক্বাযা, ওয়াজিব নামাজ, জানাযার নামাজ, তিলাওয়াতের সেজদা বা কোন নফল নামাজ পড়া দুরস্ত নেই।
শুধুমাত্র ঐ দিনের আসর নামাজ মাকরূহে তাহরীমীর সাথে পড়া জায়েজ হবে।
মাগরিবের ওয়াক্তের আরম্ভ ও শেষ সময়-
সূর্যাস্তের পর থেকে মাগরিবের নাজের সময় শুরু হয়।
অধিকাংশ উলামায়ে কেরামের মতে আকাশের লালিমা অদৃশ্য হয়ে যাওয়া পর্যন্ত এ নামাজের ওয়াক্ত বাকি থাকে।
তবে ইমাম আযম রহ. এর এক অভিমত অনুযায়ী লালিমার পর আকাশে যে শুভ্রতা দেখা যায়,
তা ডুবে যাওয়া পর্যন্ত মাগরিবের নামাজের সময় বাকী থাকে।
তবে অধিক পরিমাণ তারকা উদিত হওয়ার পর মাগরিবের নামাজ পড়া মাকরূহে তানযীহী।
এশার নামাজের ওয়াক্তের আরম্ভ ও শেষ সময়-
উপরোক্ত উভয় অভিমত অনুযায়ী মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর থেকে জমহূর উলামায়ে কেরামের মতে,
অর্ধরাত পর্যন্ত এশার নামাজ পড়া যায়।
তবে ইমাম আযম রহ. এর মতে মাকরূহে তাহরীমীর সাথে সুবহে সাদিক পর্যন্ত এশার নামাজের ওয়াক্ত বাকি থাকে।